মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

উত্তর সম্পাদকীয় | ট্রাম্পের শুল্কনীতি, একগুঁয়েমির অস্থিরতা কতদিন সইবে বিশ্ব, নজর সেদিকেই

AD | ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ২২ : ৪৮Abhijit Das


বুড়োশিব দাশগুপ্ত

শুরুর সময়ে যতটা জনপ্রিয়তা ছিল, বিশ্বায়ন বিষয়টি নিয়ে ইদানিং ততটা আগ্রহ দুনিয়ার নেই। সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প 'MAGA (Make America Great Again)' প্রকল্প শুরু করে বিশ্বায়নের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছেন বলা চলে। এই প্রকল্প বিশ্বায়নের নীতিবিরোধী একটি প্রকল্প বলা চলে। ট্রাম্পের নতুন শুল্ক ঘোষণা একদিকে তাঁর মহান আমেরিকা গড়ার আদর্শের পথে একধাপ আগুয়ান হওয়া যেমন, তেমনই উল্টো দিকে বিশ্বায়নের দুনিয়ার উল্টো স্রোতে সাঁতার কাটাও। 

এই খোলা বাজারের বাণিজ্যের ইতিহাস দীর্ঘ। অতীতে, ১৯৪৭ সালে ২৩টি দেশ মিলে জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্রেড (জিএটিটি) স্বাক্ষর করেছিল। বিশ্ববাণিজ্যের পথ সুগম করতে ও বিভিন্ন শুল্ক ও লেভিতে ছাড় দিয়ে বিশ্ববাজারকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে এই সংগঠন কাজ করবে বলে কথা ছিল। এর প্রায় ৫০ বছর বাদে, ১৯৯৫ সালে তৈরি হয় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা। সবটাই খোলা বাজারের অর্থনীতির দিকে তাকিয়ে। কাজেকর্মে ট্রাম্প এতদিনে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি রাষ্ট্রসংঘের কাজকর্ম বা পরামর্শের তোয়াক্কা করেন না। করোনাকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও বুড়ো আঙুল দেখিয়েছিলেন। এ বার, নতুন শুল্ক নীতি চাপিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকেও কার্যত পাশ কাটিয়ে দিলেন ট্রাম্প। 

ট্রাম্পের বর্তমান শুল্ক নীতি অনুসারে, সমস্ত আমদানিকৃত দ্রব্যের উপরেই সাধারণ ১০ শতাংশ কর থাকবে। ছোট-বড় কোনও সংস্থার ক্ষেত্রেই ছাড় দেওয়া হবে না। তবে ট্রাম্প সরকার সবচেয়ে বেশি শুল্ক চাপিয়েছে চীনের উপর, ৫৪ শতাংশ। তারপর ক্রমান্বয়ে রয়েছে ভিয়েতনাম ৪৬ শতাংশ, ভারত ২৬ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশগুলির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ। তবে তালিকা থেকে বাদ রয়েছে কানাডা, মেক্সিকো, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, কিউবা ও বেলারুশ। প্রতিবেশী মেক্সিকো ও কানাডার থেকে আমাদানির উপর আগে থেকেই ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, কিউবা ও বেলারুশের সঙ্গে আমেরিকার বিশেষ কোনও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নেই বললেই চলে। 

সম্ভবত ট্রাম্পের ইতিহাস সম্পর্কে বিশেষ ধারণা নেই। বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা, যার মধ্যে রয়েছে GATT এবং পরে WTO, এর সবচেয়ে বড় উপকারভোগী দেশ ছিল আমেরিকাই। ট্রাম্পের এই প্রতিশোধস্পৃহা থেকে উদ্ভুত শুল্ক আরোপের তাৎক্ষণিক কারণ ছিল ২০২৪ সালে আমেরিকার ১.২ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি। এই ঘাটতির জন্য ট্রাম্প দায়ী করেছেন বাণিজ্যরত দেশগুলোকেই। তারা “এই সুন্দর আমেরিকাকে লুঠ, ধর্ষণ ও ধ্বংস করছে” বলে তাদের শাস্তি দেওয়া দরকার, বলছেন ট্রাম্প। আর তাঁর হাত ধরে জাতীয়তাবাদ এখন তুঙ্গে।

এই মার্কিন সংরক্ষণবাদী নীতির প্রতিক্রিয়া এসেছে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। চীন সমস্ত আমেরিকান রপ্তানির ওপর ৩৪% শুল্ক আরোপ করেছে। জার্মানির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হুঁশিয়ারি দিয়েছে কড়া পদক্ষেপের। বিশ্বের শেয়ার বাজারগুলোয় ধস নেমেছে। আমেরিকার মধ্যেই মুদ্রাস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প নির্লিপ্ত। তিনি বলেছেন, তিনি শেয়ার বাজারের ওঠানামায় বিশ্বাস করেন না। আর মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদী লাভের জন্য স্বল্পমেয়াদী কষ্ট’ সহ্য করার ক্ষমতা আছে দেশের।

ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, আমেরিকার ভিতরে উৎপাদন খাতে দেওয়া ছাড় কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে দেশে ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রথম দফায় সেটি হয়নি। উৎপাদন বাড়েনি, চাকরির সংখ্যাও নয়। প্রথম দফায় যখন ট্রাম্প স্টিলের উপর শুল্ক আরোপ করেছিলেন, তখন স্টিল খাতে কর্মসংস্থান কিছুটা বাড়লেও, অন্যান্য ক্ষেত্রে শুল্কজনিত দামবৃদ্ধির ফলে কর্মসংস্থান অনেক বেশি কমে গিয়েছিল। সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছিল, যেমনটা এবার অনেক বড় পরিসরে হবে এই পারস্পরিক শুল্কের ফলে।

ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির ‘বিশেষ বন্ধুত্ব’ও ভারতকে এই শুল্ক থেকে রেহাই দিতে পারেনি। আশ্চর্যজনকভাবে ভারত এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বেশ চুপচাপ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা চীনের মতো প্রকাশ্যে মার্কিন সমালোচনায় নামেনি ভারত। বরং শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ডের মতো ছোট দেশগুলোর সঙ্গে নতুন বাণিজ্যিক ক্ষেত্র খোঁজার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বিশাল বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের বিকল্প হতে পারে না। সাম্প্রতিককালে ভারত আমেরিকা থেকে আরও বেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি করছে, রাশিয়ার উপর নির্ভরতা কিছুটা কমিয়ে। আমেরিকার সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির অপেক্ষায় ছিল ভারত, যাতে বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ করা যায়। কিন্তু একপক্ষের ছোট্ট ভুলও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। আমেরিকার সঙ্গে এই সদ্য অর্জিত আস্থা ভারত হারাতে পারে না—যা ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে সবচেয়ে খারাপ ছিল, এবং পরে মনমোহন সিংয়ের পরমাণু চুক্তির সময় থেকে ধীরে ধীরে উন্নতি হয়েছিল।

কিন্তু ট্রাম্পের শাসনের আগামী চার বছর বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা বজায় রাখবে। তাঁর অনিশ্চিত নীতি গোটা বিশ্বে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। খুব সম্ভবত বিশ্ব বাণিজ্য ভেঙে ছোট ছোট বাণিজ্যিক গোষ্ঠীতে পরিণত হবে, যা আগে ছিল বিশ্বায়ণের এক ধরনের ঐক্যবদ্ধ রূপ। অথচ বিশ্বায়নের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী ছিল আবার আমেরিকাই। এখন বিশ্ব হাঁটবে ‘সংরক্ষণবাদ’-এর পথে।


Reciprocal TariffDonald TrumpUSAIndiaTariff War

নানান খবর

সাপের বিষ মারতে ধন্বন্তরী, এক ফোঁটা চোখের জলের এত গুণ! দামও আকাশছোঁয়া

ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা? বয়স-উচ্চতা অনুসারে আদৌ কি আপনার ওজন বেশি? আসল হিসেব জানলে ধারণা বদলে যাবে

ডিগ্রির কি সত্যিই কোনও মূল্য নেই! পেট চালাতে দোরে দোরে ঘুরতে হচ্ছে অক্সফোর্ড গ্র্যাজুয়েটকে

১৩ বছরের বন্ধুত্বের পর বাগদান সারলেন দেবতনু, কবে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন অভিনেতা?

জিনপিং এবং পুতিন মিলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করবেন! আশঙ্কার কথা শোনালেন ন্যাটো প্রধান

মেসেজের উত্তরে ‘ওকে’ ব্যবহার করেন সকলে, এর অর্থ জানেন? ৯৯ শতাংশ মানুষের কোনও ধারণাই নেই

স্কুলের অধ্যক্ষ ও ভাগ্নে মিলে ভয়াবহ অত্যাচার! মাত্র ৫ বছরের শিশুর হাড়হিম পরিণতি দেখে চমকে উঠেছে দেশ

ডিউক বলের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন ভারত অধিনায়ক, জয়ের জন্য এই ক্রিকেটারকে দিলেন বড় সার্টিফিকেট 

'ডিয়ার ফুটবল, তোমার জন্য বিশেষ চিঠি', আবেগঘন পোস্ট লিখে বুটজোড়া তুলে রাখলেন রাকিটিচ

মহিলাদের কপালের ৮৬৬টি টিপ দিয়ে ক্যানভাসে মেসির ছবি ফুটিয়ে তুললেন চিত্রশিল্পী, তুলে দিতে চান বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের হাতে

বাংলার মুখ উজ্জ্বল করলেন ইংল্যান্ডে, রানির দেশে খেলতে নেমেই রেকর্ড আকাশদীপের

করের বোঝা ছাড়াই ১২ কোটি টাকা নিয়ে অবসর নিতে চান, ইপিএফ এবং এনপিএস-এ একসঙ্গে বিনিয়োগ দেবে সেই সুযোগ

'ওর জন্য উত্তর খুঁজে রেখো,' লর্ডস টেস্টের আগে স্টোকসদের সতর্কবাণী ইংল্যান্ডের প্রাক্তনীর

'রাস' এর সাফল্যের ৩০ দিন - নাচে গানে মেতে উঠল গোটা পরিবার

প্রতিদিন সামলাতে হয় শয়ে শয়ে ট্রেনের ভিড়, ভারতের ব্যস্ততম রেলস্টেশন রয়েছে বাংলাতেই

কেবল বল হাতে ভেল্কি দেখিয়েই ম্যাচের সেরা ম্যাড ম্যাক্স, সামনে কেবল গেল

এজবাস্টনে হারতেই কান্নাকাটি শুরু করে দিল ইংরেজরা, লর্ডসের উইকেট নিয়ে এল বিশেষ আবদার

ভারি বৃষ্টিপাতে ঘর ভেঙে শিশুর মৃত্যু! ঝাড়খণ্ডে বন্যার সতর্কতা

অনন্য নজির ফ্যাফ ডু প্লেসির, ছাপিয়ে গেলেন কোহলিকেও

দিনে ৬০০ ট্রেন যাতায়াত করে, ভিড় হয় উপচে পড়া, জানেন দেশের ব্যস্ততম রেল স্টেশন রয়েছে এই রাজ্যেই…

জোর ঘুরতে শুরু করেছে পৃথিবী, দাবি বিজ্ঞানীদের, কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে মানুষ

পরিবারের সামনেই ছুরি দিয়ে খুন রাজস্থানে! ইঞ্জিনিয়ারের চরম পরিণতি দেখে চমকে উঠেছে দেশ 

ত্বকে রয়েছে বিশেষ ক্ষমতা, শরীরের ঘা সেরে যায় অন্যদের থেকে আগেই! জানেন কোথায় বাস তাঁদের

আরও দু'বছর ইস্টবেঙ্গলে বিষ্ণু, দলকে ট্রফি দিতে মরিয়া প্রতিভাবান উইঙ্গার

সোশ্যাল মিডিয়া